Midwifery is a specialized area of healthcare focused on supporting women through pregnancy, childbirth, and the postpartum period, as well as providing sexual and reproductive health care. Midwives are trained professionals who provide comprehensive care to women and their families during this crucial time. They play a vital role in ensuring healthy pregnancies and deliveries, and in promoting the well-being of both mothers and newborns. মিডওয়াইফারি হল স্বাস্থ্যসেবার একটি বিশেষ ক্ষেত্র যা গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং প্রসবোত্তর সময়কালে মহিলাদের সহায়তা করার পাশাপাশি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের করে। মিডওয়াইফরা হলেন প্রশিক্ষিত পেশাদার যারা এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মহিলাদের এবং তাদের পরিবারকে ব্যাপক যত্ন প্রদান করেন। তারা সুস্থ গর্ভাবস্থা এবং প্রসব নিশ্চিত করতে এবং মা এবং নবজাতক উভয়ের সুস্থতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
Procedure of Normal Vaginal Delivery (NVD)
Normal Vaginal Delivery (NVD) হলো একটি প্রাকৃতিক প্রসব প্রক্রিয়া যেখানে শিশু যোনিপথ দিয়ে বাইরে আসে, অস্ত্রোপচার বা জটিল চিকিৎসা ছাড়াই। এই প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধাপে বিভক্ত থাকে।
ধাপ ১: প্রসবের পূর্ব ধাপ (Pre-labour / Early Signs)
এই ধাপে শরীর প্রসবের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
লক্ষণসমূহ:
Lightening: শিশুর মাথা নিচের দিকে নামতে শুরু করে।
Bloody show: মিউকাস প্লাগ ও সামান্য রক্তপাত দেখা যায়।
Water break: Amniotic sac ফেটে পানি বের হয় (rupture of membranes)।
Irregular contractions: Braxton Hicks contractions দেখা যেতে পারে।
ধাপ ২: First Stage of Labour :
এই ধাপে গর্ভমুখ (cervix) ধীরে ধীরে প্রসারিত হয় ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।
তিনটি ভাগে বিভক্ত:
a. Latent Phase (0-4 cm dilation)
Irregular, mild contractions
Cervix ধীরে ধীরে soft ও thin হয় (effacement)
b. Active Phase (4-7 cm dilation)
Strong, regular contractions (প্রতি 3-5 মিনিটে)
Cervix দ্রুত প্রসারিত হয়
Pain বেশি হয়
c. Transition Phase (7-10 cm dilation)
Intense contractions প্রতি 2-3 মিনিটে হয়
Cervix পূর্ণরূপে dilate হয়
মা ক্লান্ত ও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে পারে
* WHO-এর নির্দেশনা:
সক্রিয় পর্যায়ে (৫ সেমি পরে) সার্ভিক্স প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ১ সেমি করে খোলা উচিত।
অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ (যেমন: আগেভাগে পানি ভাঙা বা অক্সিটোসিন দেওয়া) এড়ানো উচিত যদি না চিকিৎসাগত প্রয়োজন হয়।
এই ধাপে খাবার ও তরল গ্রহণ করতে দেওয়া উচিত।
প্রসবকে সহায়ক করতে হাঁটাচলা ও সোজা হয়ে বসা/দাঁড়ানো উৎসাহিত করা হয়।
Partograph ব্যবহার করে প্রসবের অগ্রগতি এবং মা ও নবজাতকের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রতি ৪ ঘণ্টা অন্তর ভ্যাজাইনাল পরীক্ষা করা উচিত, যদি না কোনো সমস্যা থাকে।
ধাপ ৩: Second Stage of Labour – Delivery of Baby:
Cervix সম্পূর্ণ ১০ সেমি খুলে গেলে pushing শুরু হয়।
মা contraction-এর সময় জোরে চাপ দেন (bearing down).
Crowning: শিশুর মাথা যোনিমুখে দেখা যায়।
প্রথমে মাথা, তারপর কাঁধ ও শরীর বের হয়।
শিশুকে বের করার পর umbilical cord কাটা হয়।
WHO-এর নির্দেশনা:
Epidural নেওয়া মায়েদের ক্ষেত্রে চাপ দেওয়ার আগে ১–২ ঘণ্টা অপেক্ষা করা যেতে পারে।
প্রাকৃতিকভাবে চাপ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত (coach না করেই), তবে প্রয়োজনে সহায়তা করা যেতে পারে।
রুটিনভাবে এপিসিওটমি করা নিষেধ, শুধুমাত্র প্রয়োজনে (যেমন: ভ্যাকুয়াম বা ফোর্সেপ ব্যবহার) করা যেতে পারে।
প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে ২ ঘণ্টা (বা epidural সহ ৩ ঘণ্টা), এবং বহু সন্তানের ক্ষেত্রে ১ ঘণ্টা সময় দেওয়া যায়।
শিশুর অবস্থান ও নামা প্রতি ১৫–৩০ মিনিটে পর্যবেক্ষণ।
ধাপ ৪: Third Stage – Delivery of Placenta:
শিশুর জন্মের 5-30 মিনিটের মধ্যে placenta বের হয়।
Fundal massage দিয়ে uterus contract করানো হয়।
Placenta সম্পূর্ণ বের হয়েছে কিনা নিশ্চিত করা হয়।
WHO-এর নির্দেশনা:
Active Management of Third Stage of Labour (AMTSL) অনুসরণ করা হয় যাতে postpartum hemorrhage (রক্তক্ষরণ) কমে:
1. Uterotonic ওষুধ (যেমন: অক্সিটোসিন ১০ IU IM) শিশুর জন্মের পর সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হয়
2. Controlled cord traction (CCT) করা হয়
3. প্লাসেন্টা বের হওয়ার পর uterine massage করা হয়
4. Cord clamping ৩০–৬০ সেকেন্ড দেরিতে করা নবজাতকের জন্য উপকারী।
ধাপ ৫: Fourth Stage – Immediate Postpartum Period:
প্রসব-পরবর্তী ১-২ ঘণ্টা মা ও শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
Vaginal bleeding, uterus-এর অবস্থান ও vital signs মনিটর করা হয়।
Skin-to-skin contact ও breastfeeding initiation করা হয়।
WHO-এর নির্দেশনা:
প্রথম ঘণ্টায় প্রতি ১৫ মিনিটে vital signs, uterus-এর শক্ত হওয়া ও রক্তক্ষরণ পর্যবেক্ষণ করা।
Skin-to-skin contact নিশ্চিত করা এবং শিশুকে স্তন্যপান শুরু করাতে সহায়তা।
সংক্রমণ ও রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে পর্যবেক্ষণ চালানো।স্বাভাবিক ডেলিভারিতে নার্স বা মিডওয়াইফ-এর দায়িত্ব:
মা ও শিশুর vital signs মনিটর করা:
Sterile পরিবেশ বজায় রাখা
Emotional ও physical support দেওয়া
Pain management
Immediate newborn care (drying, APGAR score, warmth)
Baby কে dry করে immediate skin-to-skin contact দেওয়া।
Advantages of Normal Delivery :
দ্রুত সুস্থতা ও discharge
কম ব্যথা ও কম ইনফেকশন ঝুঁকি
স্তন্যপান সহজে শুরু করা যায়
ভবিষ্যতে আরও সন্তান নেওয়ার সম্ভাবনা ভালো থাকে
Post operative management of NVD:
স্বাভাবিক যোনিপথে প্রসব (NVD) পরবর্তী ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে প্রসূতি মায়ের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ, ব্যথা ব্যবস্থাপনা, বুকের দুধ খাওয়ানো এবং নবজাতকের যত্ন নেয়া। এছাড়াও, প্রসব-পরবর্তী জটিলতা যেমন অতিরিক্ত রক্তপাত, সংক্রমণ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা করা জরুরি।
NVD-এর পর প্রসূতি মায়ের পোস্ট-অপারেটিভ (Post-operative) ব্যবস্থাপনার মধ্যে যা যা অন্তর্ভুক্ত:
শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ:
রক্তচাপ, নাড়ীর গতি, তাপমাত্রা এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।
যোনিপথ থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত বা নিঃসরণ হচ্ছে কিনা, তা খেয়াল রাখা।
জরায়ু সংকুচিত হচ্ছে কিনা, তা অনুভব করা।
ব্যথা ব্যবস্থাপনা:
প্রসব-পরবর্তী ব্যথা উপশমের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ দেয়া।
ব্যথা কমাতে অন্যান্য পদ্ধতি যেমন গরম সেঁক বা ম্যাসাজ ব্যবহার করা যেতে পারে।
বুকের দুধ খাওয়ানো:
প্রসূতি মাকে নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য উৎসাহিত করা।
বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক কৌশল শেখানো।
নবজাতকের যত্ন:
নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা।
শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা।
নবজাতকের ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং ডায়াপার পরিবর্তন করা।
যদি কোনো সমস্যা দেখা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
প্রসব-পরবর্তী জটিলতা সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা:
অতিরিক্ত রক্তপাত, সংক্রমণ, প্রস্রাবের সমস্যা, বা অন্য কোনো জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা করা।
প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্যান্য ঔষধ দেয়া।
সচেতনতা বৃদ্ধি:
।
পরবর্তী ফলো-আপ ভিজিট সম্পর্কে জানানো।
উপরের বিষয়গুলি নিশ্চিত করার মাধ্যমে NVD-এর পর প্রসূতি মা এবং নবজাতকের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা যায়।