HRTD Medical Institute

Psychiatric

Psychiatry শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে মনোরোগ বিদ্যা। সাধারণত মানসিক রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর রোগ সমূহ ও অন্যান্য প্রাসংগিক তথ্য আহরণ করা হয় ও ‘মানসিক স্থিতির পরীক্ষণ'(Mental Status Examination) করা হয়। কিছুক্ষেত্রে মনোবৈজ্ঞানিক পরীক্ষার (Psychoogical test) সহায়তা নেওয়া হয়।

Psychotic Illness এর লক্ষণ কি কি?

Psychotic Illness এর মধ্যে প্রধানত আসে সিজোফ্রেনিয়া। যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সন্দেহপ্রবণতা, অতিরিক্ত রাগ ,একা একা কথা বলা বা বিড়বিড় করা, অস্বাভাবিক ব্যবহার, বিভিন্ন রকমের অঙ্গভঙ্গি করা, রাতে ঘুম না হওয়া ইত্যাদি। এছাড়া বয়স্কদের মধ্যে প্রধানত দেখা যায় ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতার সমস্যা।

মানসিক চাপের কারণ কী?

  • নিজেদের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা বা অনুভূতি
  • বয়ঃসন্ধিকাল শুরুর মতো তাদের শরীরিক পরিবর্তন
  • বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল থেকে পরীক্ষা ও বেশি বেশি হোমওয়ার্ক বা বাড়ির কাজের চাপ
  • স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে মনোমালিন্য ও সামাজিকতা
  • বাড়ি বদল, স্কুল পরিবর্তন বা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের মত বড় পরিবর্তন

মানসিক চাপ কমাতে কি করা উচিত?

  • দৈনন্দিন জীবনে চলার পথের অংশ হিসেবে আমাদের অনেক কিছুর মুখোমুখিই হতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি বলা চলে ‘মানসিক চাপ‘। …
  • শরীরচর্চা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে, নিয়মিত ৩০-৪০ মিনিট বিভিন্ন প্রকার শরীরচর্চা করতে পারেন। …
  • মেডিটেশন
  • উপযুক্ত খাদ্যতালিকা
  • অবসরে কিছু কাজ
  • পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম

কোন ব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়?

প্রায় যেকোনো ধরনের ব্যায়াম বা নড়াচড়া স্ট্রেস কমানোর সাথে সাথে ফিটনেসের মাত্রা বাড়াতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এমন একটি কার্যকলাপ বাছাই করা যা উপভোগ করা । উদাহরণের মধ্যে রয়েছে হাঁটা, সিঁড়ি আরোহণ, জগিং, নাচ, সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম, বাগান করা, ভারোত্তোলন এবং সাঁতার ।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় :

০১-নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও দুশ্চিন্তা

মানুষের মন খুব অদ্ভুত। যা এক মুহুর্তে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হতে পারে, আবার পরের মুহুর্তেই হতাশায় ডুবে যেতে পারে। এই চিন্তা ভাবনার খেলা অনেক সময় আমাদের জীবনে নেমে আনে অশান্তির ঝড়। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, দুশ্চিন্তা, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা এবং হতাশা – এইসব কিছু মিলে যখন আমাদের মনকে ঘিরে ধরে, তখনই জন্ম নেয় মানসিক চাপের ভয়াবহ রূপ।

কিছু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা যেমন ‘আমি পারব না’, ‘সবকিছুই শেষ’, ‘ভবিষ্যৎ অন্ধকার’, ‘আমি ব্যর্থ’ – এই ধরণের চিন্তা ভাবনা আমাদের মনে দুশ্চিন্তার বীজ বপন করে। অতীতের ভুল, বর্তমানের সমস্যা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা এই দুশ্চিন্তা কে আরও তীব্র করে তোলে। ফলে আমাদের সবার মনের উপর হতাশা নেমে আসে।

০২-নিজেকে ছোট করে দেখা

আত্মসম্মান এবং নিজেকে মূল্যবান ভাবার ধারণা, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। যখন আমরা নিজেদের কে ছোট করে দেখি, হীনমন্যতায় ভুগি এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব অনুভব করি, তখন মানসিক চাপ বেড়ে যায়। এই চাপ দীর্ঘস্থায়ী হলে, তা বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যার দিকে ধাবিত করে ফেলে।

কম আত্ম সম্মানের মানুষরা প্রায়শই নেতিবাচক চিন্তা ভাবনায় আচ্ছন্ন থাকে। তারা নিজেদের সম্পর্কে, তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে এবং তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে। এই ধরনের মানুষরা তাদের সিদ্ধান্ত এবং ক্ষমতায় সন্দেহ করে। তারা নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে ভয় পায় এবং ব্যর্থতার আশঙ্কায় থাকে।

০৩-বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া

মানসিক চাপের আরেকটি ভয়াবহ পরিণাম হলো অতিরিক্ত উদ্বেগ। ভবিষ্যৎ নিয়ে অস্পষ্টতা, অজানা আতঙ্ক, সবসময় মনে ভয়ের ছায়া – এইসব কিছুই উদ্বেগের লক্ষণ। চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা উদ্বেগের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তোলে।

দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে থাকলে, মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে সেরোটোনিন ও ডোপামিনের মতো মেজাজ নিয়ন্ত্রণকারী নিউরো ট্রান্সমিটারের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে মন খারাপ, আনন্দহীনতা, ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা – বিষণ্ণতার লক্ষণ গুলো একের পর এক বেরিয়ে আসে।

০৪-শারীরিক অসুস্থতার প্রভাব

মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা, ক্ষুধামন্দা, ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি – এগুলো হলো সাধারণ শারীরিক অসুস্থতা যা মানসিক চাপের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

মানসিক চাপের সময় আমাদের শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই হরমোন দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপের জন্য দায়ী। কর্টিসল রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা এবং হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি করে। এর ফলে মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা, হজমের সমস্যা, এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।

০৫-পারিবারিক অশান্তি ও কলহ:

মানুষের জীবনে পরিবার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ পরিবার হলো সুখ, ভালোবাসা এবং সমর্থনের আশ্রয়স্থল। কিন্তু যখন এই পরিবারে দেখা দেয় অশান্তি, কলহ এবং বিবাদ, তখন তা মানুষের জীবনে নেমে আসে অদৃশ্য ঝড়ের মতো, যা আমাদের জীবনে নিয়ে আসে অপরিসীম মানসিক চাপ।

একটি পরিবারে অশান্তির অনেক কারণ থাকে। আর্থিক সমস্যা, পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি, অবিশ্বাস, যোগাযোগের অভাব, সব মিলিয়ে তৈরি হয় এক অসহ্য পরিবেশ। ঝগড়ার তীব্রতা যখন বৃদ্ধি পায়, তখন শুরু হয় মানসিক চাপের যন্ত্রনা। তখন মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে, বিষণ্ণতা নেমে আসে। ঘুমের অসুবিধা, ক্লান্তি, বিরক্তি, মনোযোগের অভাব – সব মিলিয়ে জীবন হয়ে ওঠে অসহ্য।

০৬-অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা:

অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা মানে আয়ের অস্থিরতা, চাকরির অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধোঁয়াশা কে চিহ্নিত করা হয়। এই অজানা জিনিস গুলো মনকে অস্থির করে তোলে, দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের জন্ম দেয়। প্রতিদিনের খরচ, ঋণ পরিশোধ এবং ভবিষ্যৎ শিক্ষা ও চিকিৎসার খরচ মেটানোর চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়।

এছাড়াও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চিত থাকা মানসিক চাপের একটি প্রধান কারণ। যখন আমরা জানি না আগামী দিন গুলোতো আমাদের জন্য কী রয়েছে, তখন আমরা উদ্বিগ্ন, ভীত এবং হতাশা বোধ করি। বিশেষ করে যখন মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত আয় নিশ্চিত থাকেনা, তখন এই অনিশ্চয়তা আমাদের জীবনে আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

০৭-সামাজিক চাপ:

মানুষ সামাজিক জীব। তাই আমরা সবসময় অন্যদের সাথে যুক্ত থাকতে চাই, তাদের সাথে মিশে যেতে চাই, তাদের স্বীকৃতি পেতে চাই। কিন্তু এই ইচ্ছা গুলো অনেক সময় পরিণত হয় এক অদৃশ্য বেড়া জালে, যা আমাদের মানসিক চাপের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এই বেড়াজালের তিনটি প্রধান স্তম্ভ হল, সামাজিক প্রত্যাশা পূরণের চাপ, সমাজের সমালোচনা এবং বৈষম্য।

সমাজ আমাদের উপর বিভিন্ন ধরণের প্রত্যাশা চাপিয়ে দেয়। শিক্ষাগত সাফল্য, ভালো চাকরি, সুন্দর সংসার – এই তালিকা কতটা দীর্ঘ তা আমরা সবাই জানি। আর এই প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেই শুরু হয় আত্ম-সন্দেহ, হতাশা এবং অপরাধবোধ।

আমাদের চারপাশে সবসময়ই এমন কিছু লোক থাকে যারা আমাদের সমালোচনা করতে পছন্দ করে। পোশাক, চালচলন, কথা বলার ধরন – সবকিছু নিয়েই তারা মন্তব্য করে। এই সমালোচনা, বিশেষ করে যখন নেতিবাচক হয়, তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয় এবং মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে।

০৮-সম্পর্কের সমস্যা:

আমরা সবাই স্নেহ, সঙ্গ এবং সমর্থনের জন্য একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। যখন আমরা সুস্থ সম্পর্কে থাকি, তখন এটি আমাদের আনন্দ এবং পূর্ণতা প্রদান করে। কিন্তু যখন সম্পর্ক সমস্যায় পড়ে, তখন এটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে দেয়।

বিচ্ছেদ, সম্পর্কের অবনতি এবং জগড়া – এই সবই সম্পর্কের সমস্যার উদাহরণ। বিচ্ছেদ যখন ঘটে, তখন এটি ব্যথা, দুঃখ এবং একাকীত্বের অনুভূতি নিয়ে আসে। সম্পর্কের অবনতি হলে, দম্পতিরা দূরত্ব অনুভব করে এবং তাদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব দেখা দেয়। জগড়া হলে, উত্তেজনা এবং রাগের পরিবেশ তৈরি হয়, যা মানসিক চাপের অন্যতম কারণ।

মানসিক চাপে থাকলে আমাদের কি কি শারীরিক অসুবিধা হয়:

  • দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ আমাদের রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
  • মানসিক চাপের সময় আমাদের শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পেশীতে টান ও ব্যথা দেখা দেয়।
  • মানসিক চাপের ফলে প্রচন্ড মাথাব্যাথা হতে পারে। 
  • পেট খারাপ, বদহজম, এসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
  • আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। 
  • সর্দি-কাশি, জ্বরের মতো রোগে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • ব্রণ, একজিমা, সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।
  • অনিদ্রা, ঘুমে অসুবিধা, ঘুমের গুণমান হ্রাসের মতো সমস্যা শুরু হয়। 
  • দীর্ঘমেয়াদী চাপের ফলে ক্লান্তি ও অবসাদ বোধ লক্ষ করা যায়।
  • চাপের কারণে মনোযোগ ধরে রাখতে অসুবিধা হয়।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায়:

বর্তমানের আধুনিক জীবনে মানসিক চাপ যেন আমাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। অফিসের কাজের চাপ, পারিবারিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার – এই সবকিছুই আমাদের মানসিক চাপের মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ শুধুমাত্র মানসিক ক্ষতিই করে না, বরং এর শারীরিক প্রভাবও ভয়াবহ।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় নিচে দেওয়া হলো

০১) আপনার ভালো লাগা কাজ করুন

মানসিক চাপ থেকে মুক্তির এক অদ্ভুত উপায় লুকিয়ে আছে আপনার পছন্দের কাজের মধ্যে। গান শোনা, বই পড়া, ছবি আঁকা, বাগান করার মতো যেসব কাজ আপনার মনকে আনন্দ দেয়, সেগুলোই হতে পারে আপনার মানসিক  চাপের প্রতিষেধক। 

কারণ যখন আপনি প্রিয় কাজে মনোনিবেশ করবেন, তখন মস্তিষ্ক ডোপামিন নামক এক ধরণের নিউরো ট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই ডোপামিন আপনাকে ভালো অনুভূতি বোধ করতে সাহায্য করবে, আর আপনার মানসিক  চাপ কমিয়ে দিবে।

এছাড়াও, পছন্দের কাজ মনকে শান্ত করে, একাগ্রতা বাড়ায় এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে। তাই যখন চাপে ভুগবেন, তখন বসে না থেকে একটু ব্রেক নিবেন। তারপর আপনার প্রিয় গান শুনবেন, মনো মুগ্ধকর কোন বইয়ের পাতায় চোখ রাখবেন, অথবা প্রিয় খেলায় হারিয়ে যাবেন। দেখবেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার মন ভালো হয়ে উঠবে, সেইসাথে আপনার মানসিক চাপও কমে যাবে।

০২) চুইংগাম চিবাবেন

চুইংগাম চিবানোর সময়, আপনার মুখের পেশী গুলো নিয়মিত নড়াচড়া করে। এতে মুখের রক্ত ​​সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের প্রবাহও বৃদ্ধি পায়। প্রচুর অক্সিজেন সরবরাহের ফলে মস্তিষ্ক আরও সক্রিয় ও সজাগ থাকে, যার ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, চুইংগাম চিবানো ব্যক্তির মেমরি, প্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা ধরন উন্নত হয়। এর কারণ হল চুইংগাম চিবালে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ সক্রিয় থাকে যা মনোযোগ, মেমরি এবং শেখার বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে।

০৩) যোগ ব্যায়াম করুন

যোগ ব্যায়ামে প্রাণায়াম অনুশীলন শ্বাস প্রশ্বাসের উপর নিয়ন্ত্রণ তৈরি করে। গভীর ও ধীর শ্বাস প্রশ্বাস মন কে শান্ত করে এবং চাপ কমাতে সাহায্য করে। এই ব্যায়াম আমাদের মননশীলতা বৃদ্ধি করে। আর এই মননশীল অবস্থায় আপনি বর্তমান সময়ের উপর মনোযোগ দিতে পারবেন এবং অতীত বা ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে মুক্তি নিতে পারবেন। যা আপনার মানসিক চাপ কমাতে এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

০৪) ভ্রমণ করুন

যখন আমরা প্রকৃতির কোলে ফিরে যাই, তখন মনে হয় যেন এক অদ্ভুত শান্তি এসে ভরে যায়। কারণ এই সময় আমাদের মন শান্ত হয়ে যায়, চিন্তাভাবনা থেমে যায়। নীল আকাশ, সবুজ গাছপালা, মৃদু বাতাস – এই সবকিছুই আমাদের মনকে হালকা করে তোলে। নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষ, নতুন অভিজ্ঞতা – এই সবকিছুই আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে।এর ফলে আমাদের মানসিক চাপ কমে যায়, সেইসাথে আমাদের মন ভালো হয়।

কারণ, ভ্রমণের সময় আমরা শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করি না,এর পাশাপাশি নতুন অভিজ্ঞতাও অর্জন করি। নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হই, তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানি। নতুন নতুন খাবার খাই, নতুন নতুন জিনিস দেখি। এই সবকিছুই আমাদের সবার মনকে করে তোলে সমৃদ্ধ। যার ফলে আমাদরে মানসিক চাপ কমে যায় এবং জীবনে আসে নতুন উৎসাহ।

Nursing Management of a Psychiatric Patient:

1. Assessment : মানসিক রোগী ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ হলো রোগীর অবস্থা এবং প্রয়োজন নির্ধারণ।

  • মনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ: ▪️Mood ▪️Behavior ▪️Thought process ▪️Memory
  • Medical History: রোগীর মানসিক সমস্যা, পারিবারিক ইতিহাস, পূর্ববর্তী চিকিৎসা বা ওষুধ সেবনের অভ্যাস সম্পর্কে জ্ঞান /অর্জন।
  • Physical Assessment: রোগীর শারীরিক সুস্থতার মূল্যায়ন এবং মানসিক সমস্যা থেকে শারীরিক জটিলতার সম্ভাব্য কারণ চিহ্নিত করা।

2. Ensuring Safety:

  • রোগী নিজের বা অন্যের ক্ষতি করবে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা।
  • ঝুঁকিপূর্ণ বস্তু যেমন ধারালো জিনিস বা ওষুধ দূরে রাখা।
  • আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশেষ নজর রাখা।

3. Therapeutic Intervention:

  • Psychotherapy: ▪️কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে রোগীর অনুভূতি ও সমস্যাগুলো বোঝা। ▪️রোগীর আত্মবিশ্বাস বাড়ানো।
  • Medications: ▪️মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সঠিক ডোজ (যেমন: Antidepressant, Antipsychotic or Sedative) এবং সিডিউল অনুযায়ী ওষুধ সেবন নিশ্চিত করা। ▪️ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ।
  • Cognitive Behavioural Therapy(CBT): রোগীর নেতিবাচক চিন্তাধারা পরিবর্তনে সাহায্য করা।
  • Relaxation Technique: মেডিটেশন বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগীর মানসিক চাপ কমানো।

4. Effective Communication :

  • রোগীর সাথে বিশ্বাসযোগ্য এবং সহানুভূতিশীল সম্পর্ক গড়ে তোলা।
  • ধৈর্য এবং সম্মানের সাথে রোগীর কথা শোনা।
  • সহজ ভাষায় কথা বলা এবং রোগীকে স্বস্তি দেওয়া।

5. Daily Care:

  • ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: রোগীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য সহায়তা করা।
  • পুষ্টিকর খাদ্য: রোগীর পুষ্টির চাহিদা পূরণে সুষম খাদ্য সরবরাহ করা।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: রোগীর ঘুমের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে সঠিক পরিবেশ তৈরি করা।
  • শারীরিক ব্যায়াম: প্রয়োজন অনুযায়ী হালকা শারীরিক কার্যক্রমে রোগীকে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা।

6. Education and Awareness:

  • রোগী এবং পরিবারের সদস্যদের মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতন করা।
  • সঠিক চিকিৎসা এবং ওষুধ সেবনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা।
  • রোগীকে নিয়মিত রুটিন মেনে চলতে সাহায্য করা।

7. Rehabilitation and Support:

  • রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা।
  • কমিউনিটির সাহায্যে সামাজিক সমর্থন বাড়ানো।
  • কর্মসংস্থান বা শিক্ষামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

8. Planning and Documentation:

  • রোগীর অবস্থা, চিকিৎসা এবং উন্নতির নথি সংরক্ষণ করা।
  • নতুন কোনো উপসর্গ বা জটিলতা দেখা দিলে তা চিকিৎসকের সাথে শেয়ার করা।

9. Crisis Management:

  • রোগীর আচরণ হঠাৎ করে আক্রমণাত্মক হলে বা বিপদজনক হলে কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীকে মানসিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা।

HRTD Medical Institute

Check Also

পল্লী চিকিৎসায় ডিপ্লোমা/ডি এম এস/DMS

পল্লী চিকিৎসায় ডিপ্লোমা/ডি এম এস/DMS. মোবাইল নাম্বার 01797522136, 01987073965. ডি এম এস ১ বছর কোর্স …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *