HRTD Medical Institute

Patient Management For Caregiver

Job-1: Wash Hands and Perform Donning and Doffing of selected PPE.

Skill-1: Perform Hand Washing

1. Wet hands with water.

2. Apply enough soap to cover all hand surfaces.

3. Rub hands palm to palm.

4. Right palm over left dorsum with interlaced fingers and vice versa.

5. Palm to palm with fingers interlaced.

6. Backs of fingers to opposing palms with fingers interlocked.

7. Rotational rubbing of left thumb clasped in right palm and vice versa.

8. Rotational rubbing, backwards and forwards with clasped fingers of right hand in left palm and vice versa.

9. Rinse hands with water,

10. Dry hands thoroughly with a single use towel.

11. Use towel to turn off faucet.

12. Your hands are now safe!

Skill-2: ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) ও গাউন পরিধানের ধাপসমূহ

১. ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জিনিস যেমন ঘড়ি, কলম, মোবাইল ফোন, কানের রিং, গলার চেইন, আংটিসহ অলঙ্কার খুলে রাখুন।

২. চেঞ্জিং রুমে ক্লাব ফুট (scrub suit) ও রাবারের বুট পরুন।

৩. পিপিই পরিধানের নির্ধারিত কক্ষে যান।

৪. নিজের সাইজ অনুসারে সঠিক মাপের পিপিই সেট বাছাই ও গুণগতমান পরখ করে নিন।

৫. একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকের (সহকর্মী) নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে পিপিই পরিধান করুন।

৬. হাত ধোযার স্বাস্থ্য বিধি (hand hygiene) পালন করুন

৭. দুই হাতে গ্লভস পরুন।

৮. একবার ব্যবহার উপযোগী গাউন পরিধান করুন। এই গাউন এমন কাপড়ের তৈরি হতে হবে যা রক্ত, শরীর থেকে নিসৃত রস বা রক্ত বাহিত জীবাণু নিরোধী হিসেবে পরীক্ষিত।

৯. মুখের মাস্ক পরিধান করুন।

১০. মুখেদ্র বন্ধনী (face shield) অথবা গণলজ (goggles) পরিধান করুন।

১১. মাথা ও ঘাড়ের আচ্ছাদন (surgical bonnet) পরিধান করুন যা ঘাড় ও মাথার দুইপাশ ঢেকে দেখ (মুখবন্ধনীর সাথে) অথবা হড (hood) ব্যবহার করুন।

১২. পানি নিরোধী একবার ব্যবহারযোগ! এ্যাপ্রোন পরিধান করুন। (যদি পাওযা না যায সে ক্ষেত্রে হেভি ডিউটি পুনঃব্যবহারযোগ্য পানি নিরোধী এ্যাপ্রোন ব্যবহার করুন)

১৩. হাতের কব্জি পর্যন্ত দ্বিতীয জোড়া গ্লভস্ (লম্বা হবে) পরুন।

Skill-3: ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) ও কভারঅল খুলে ফেলার ধাপসমূহ:

১. সব সময়, একজন (সহকর্মী) নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে পিপিই খুলুন। নিরাপদে পিপিই ফেলার জন্য বর্জ্য অপসারণ বিন এবং পুণঃব্যবহারের পিপিই রাখার কনটেইনার আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

২. গ্লভস পরিহিত অবস্থায হাতের স্বাস্থ্য বিধি (hand hygiene) পালন করুন। সম্মুখে ঝুঁকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকের এ্যাপ্রোনট এমনভাবে খুলুন যাতে হাত সংক্রমিত না হয়।

৩. একবার ব্যবহারযোগ্য এ্যাপ্রোন খোলার স নিকট বাধন ছিড়ে ফেলুন এবং এপ্রোনের সামনের দিকে স্পর্শ না করে মুড়িযে নিচের দিকে নামান। এবার পেছনের বাঁধন খুলুন মুড়িযে সামনের দিকে নিয়ে।

৪. গ্লভস্ পরিহিত অবস্থায হাতের স্বাস্থ্য বিধি (hand hygiene) পালন করুন।

৫. মাথা ও ঘাড়ের আচ্ছাদন (surgical bonnet) খোলার সময় কখনই যেন মুখমন্ডল সংক্রমিত না হয়। আচ্ছাদনটি ঘাড়ের পেছনের নিচ থেকে খোলা শুরু করুন। আচ্ছাদনটি ভেতর থেকে বাইরে মুড়িয়ে এবং পেছন থেকে সামনের দিকে এনে নিরাপদে ফেলে দিন।

৬. গ্লভস পরিহিত অবস্থায হাতের স্বাস্থ্য বিধি (hand hygiene) পালন করুন।

৭. কভারঅল ও বাহিরের গুডস্ খুলে ফেলুন নিয়ম হলো, আয়নার সামনে দাঁড়িযে মাথা পেছনের দিকে কাত করে শরীরের চামড়া স্পর্শ না করে জিপার খোলা। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কভারঅল খুলে ফেলুন। ঘাড় থেকে কভারঅল সরিযয়ে ফেলার পরে হাতা খোলার সময় বাহিরের রঙ খুলে ফেলুন। ভেতরের গ্লভস্ দিযে কভারঅলটি বুটের উপরিভাগ পর্যন্ত মুড়িযে ভাজ করুন। এক পাযের বুট থেকে অপর পাযের কভারঅলটি খুলে ফেলুন। এবার কভারঅল থেকে সরে আসুন ও নিরাপদে ফেলে

৮. গ্লভস্ পরিহিত অবস্থায হাতের স্বাস্থ্য বিধি (hand hygiene) পালন করুন।

৯. মাথার পেছন দিক থেকে ফিতা টেনে ধরে চোখের সুরক্ষা (face shield) অথবা গজ (goggles) নিরাপদে ফেলে দিন।

১০. গ্লভস্ পরিহিত অবস্থায হাতের স্বাস্থ্য বিধি (hand hygiene) পালন করুন।

১১. মাথার পেছন দিক থেকে প্রথমে নিচের অংশের ফিতা মাথার উপর দিযে সামনে ঝুলন্ত অবস্থায ছেড়ে দিয়ে উপরের ফিতাটি মাথার পেছন থেকে সামনে এনে নিরাপদে মাস্কটি খুলুন।

১২. গ্রভস্ পরিহিত অবস্থায হাতের স্বাস্থ্য বিধি (hand hygiene) পালন করুন।

১৩. স্পর্শ না করে রাবারের বুটটি খুলে ফেলুন (অথবা জুতার কাভার, যদি জুতা ব্যবহার করে থাকেন)। যদি একই বুট অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাইরে ব্যবহার করা প্রযোজন হয় তবে বুটটি পরে থাকুন কিন্তু পিপিই খোলার স্থান ত্যাগ করার পূর্বে তা যথাযথভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন।

১৪. গ্লভস্ পরিহিত অবস্থায় হাতের স্বাস্থ্য বিধি (hand hygiene) পালন করুন।

১৫. প্রথম জোরা গ্লভস্ সঠিক নিয়মে সাবধানে খুলে ফেলি।

১৬. হাতের স্বাস্থ্য বিধি পালন করুন।

Specific Instruction:

1. Use hand washing product namely soap/ or 70% alcohol solution (ethanol or isopropanol).

2. Use tap’s running water.

3. Use 70% alcohol solution

4. Use towel or tissues.

5. Use bucket and mug.

6. Use clean medium sized gloves.

7. Use sterile mask.

8. Use hair net.

9. Use apron.

10. Use Mackintosh gown.

11. Use waste disposal box.

Required PPE: Gloves, apron, mask, mackintosh gown, hair net, head and neck covering, face shield, coverall etc.

Measure Blood gloucose level (Bangla)

১। প্রথমেই কেয়ারগিভারকে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। রোগীকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করবে এবং তার অনুমতি গ্রহণ করবে।

২। গ্লুকোমিটারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করে কার্যকারিতা যাচাই করে নিতে হবে। সুই বা নীডল লেনসেট পেনে ঠিকভাবে লাগিয়ে নিতে হবে।

৩। রোগীর যে আঙুল থেকে রক্ত নেয়া হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে। অ্যালকোহল প্যাড বা জীবাণুনাশক দিয়ে আঙুলের মাথা পরিষ্কার করে নিয়ে পুরোপুরি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

৪। গ্লুকোমিটারে একটি পরীক্ষার স্ট্রিপ প্রবেশ করাতে হবে। গ্লুকোমিটারের মডেলভেদে স্ট্রিপ আলাদা হয়, তাই শুধু তোমার মিটারের জন্য নির্দিষ্ট স্ট্রিপ ব্যবহার কর। নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ স্ট্রিপ ব্যবহার করা যাবেনা, এতে ভুল ফলাফল আসতে পারে। স্ট্রিপের কৌটা খোলার পর একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়, এ বিষয়ে নির্দেশিকায় লেখা তথ্য অনুসরণ করতে হবে। আধুনিক গ্লুকোমিটারে স্ট্রিপ প্রবেশ করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা চালু হয়ে যায়।

৫। সুই বা ল্যানসেট (যা একটি কলমের মধ্যে থাকে) দিয়ে রোগীর হাতের আঙুলের অগ্রভাগ ফুটো করতে হবে। প্রতিবার ভিন্ন ভিন্ন আঙুল ব্যবহার করা উচিৎ। স্বতঃস্ফূর্তভাবে বের হয়ে আসা বড় এক ফোঁটা রক্তই যথেষ্ট।

৬। রক্তের ফোঁটা পরীক্ষার স্ট্রিপের নির্দিষ্ট জায়গায় স্পর্শ ধরে রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় রক্তের পরিমাণ গ্লুকোমিটারভেদে ভিন্ন (০.৩ থেকে ১ মাইক্রো লিটার) হতে পারে। খুব কম বা ছোট রক্ত হলে মিটারে কোনো ফলাফল নাও আসতে পারে। রক্ত নির্দিষ্ট সেনসরে লাগলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শোষিত হয় এবং মিটারটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পর্দায় প্রদর্শন করবে।

৭। তারিখ ও সময় দিয়ে প্রাপ্ত ফলাফল রেকর্ড করে রাখতে হবে এবং ব্যবহৃত সুই এবং স্ট্রিপ নির্দিষ্ট ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে হবে। অন্যান্য যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে পরিষ্কার করে সংরক্ষণ করতে হবে এবং কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখতে হবে।

চিকিৎসককে রিপোর্ট করার সময় গ্লুকোজের রেকর্ড চার্ট সরবরাহ করতে হবে, যাতে রেকর্ড করা গ্লুকোজের মাত্রা দেখে ডাক্তার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ইনসুলিন ইনজেকশন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:

১. ইনসুলিন: বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক ইনসুলিন।

২. ইনসুলিন সিরিঞ্জ অথবা ইনসুলিন পেন: ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়ার জন্য সিরিঞ্জ অথবা পেন-যেকোনো একটি ব্যবহার করা যায়। ইনসুলিন সিরিঞ্জ: এই বিশেষ সিরিঞ্জগুলো বিভিন্ন সাইজের হতে পারে। ইনসুলিনের ধরনভেদে নির্দিষ্ট সাইজের সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হয়। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সিরিঞ্জে ইনসুলিন নিয়ে এরপরে ইনজেকশনটি করতে হয়। ইনসুলিন পেন বা কলম: এটি দুই ধরনের হতে পারে। এক ধরনের ইনসুলিন পেন আছে যাতে আগে থেকেই ইনসুলিন ভরা থাকে। কলমের ভেতরের ইনসুলিন শেষ হয়ে গেলে কলমটি ফেলে দিতে হয়। আরেক ধরনের ইনসুলিন পেন আছে যেটির ভায়াল অথবা কার্তুজ (কার্ট্রিজ) পরিবর্তন করে বারবার ব্যবহার করা যায়। এসব কলমের সাথে আলদাভাবে সুই ব্যবহার করতে হয়। সুইগুলো কেবল একবার ব্যবহার করা যায়। এসব সুইকে কেবল ত্বকের নিচে বা সাব-কিউটেনিয়াস উপায়ে দিতে হয়-পেশী অথবা শিরার মধ্য দিয়ে দিতে হয় না। বলে এগুলো বেশ ছোটো ও সরু হয়। ৩. ধারালো বস্তু ফেলার নির্দিষ্ট স্থান: হোম কেয়ার সেটিংসে ধারালো বস্তু ফেলার জন্য একটি ঝুড়ি, নির্দিষ্ট করে রাখা যেতে পারে যেখানে ব্যবহৃত সুইটি নিরাপদে ফেলে দেওয়া যাবে। হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন রঙের কন্টেইনার থাকে। সেক্ষেত্রে লাল রঙের কন্টেইনারে ব্যবহৃত সুইটি ফেলতে হবে। ইনসুলিন সিরিঞ্জ দিয়ে ইনসুলিন দেওয়ার নিয়ম: আটটি সহজ ধাপ অনুসরণ করে রোগী নিজেই ঘরে বসে ইনসুলিন সিরিঞ্জ এর সাহায্যে ইনসুলিন নিতে পারেন। আবার একই ধাপ অনুসরণ করে পেশেন্ট কেয়ার টেকনিশিয়ানও ইনসুলিন প্রদান করতে পারে। ধাপগুলো নিচে তুলে ধরা হলো: ধাপ ১: হাত ভালোভাবে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। ধাপ ২: ইনজেকশনটি শরীরের কোন জায়গায় দেওয়া হবে সেটি ঠিক করে নিতে হবে। ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হলো শরীরের চর্বিযুক্ত স্থান। যেমন: তলপেট (নাভির নিচের অংশ), উরু অথবা নিতম্ব প্রভৃতি স্থান। প্রতিবার ভিন্ন ভিন্ন জায়গা নির্বাচন করা উচিত। আগে যেখানে ইনসুলিন নেয়া হয়েছে তার থেকে অন্তত ১ সেন্টিমিটার বা আধা ইঞ্চি দূরে পরের ইনজেকশনটি দেওয়া উচিত। একই জায়গায় বারবার ইনজেকশন দিলে ওই জায়গাটি শক্ত হয়ে ফুলে যেতে পারে-যা পরবর্তীতে ইনসুলিন শোষণে ও সঠিকভাবে কাজ করতে বাধা দিতে পারে। ধাপ ৩: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ইনসুলিনটি বেছে দাও। ইনসুলিনের মেয়াদ আছে কি না সেটি বোতলের গায়ে লেখা তারিখ থেকে জেনে নাও। ইনসুলিন ব্যবহারের পূর্বে সাধারণত বোতল বা ভায়াল ঝাঁকিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে ঘোলা প্রকৃতির ইনসুলিন ব্যবহারের পূর্বে ইনসুলিন পুরোপুরি মিশে যাওয়া পর্যন্ত ভায়ালটি দুই হাতের তালুর মাঝে রেখে আলতো করে ঘুরিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের প্যাকেটে থাকা নির্দেশনাটি ভালোমতো পড়ে নিতে হবে। ধাপ ৪: ইনসুলিন সিরিঞ্জটি মোড়ক থেকে বের করে ওপরের ক্যাপটি খুলে নাও। সিরিঞ্জটি খাড়া করে ধর। এবার সিরিঞ্জের প্রাঞ্জার বা দণ্ড টেনে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী যত ইউনিট ইনসুলিন নিতে হবে ততটুকু (তত cc বা ml) বাতাস সিরিঞ্জে প্রবেশ করাও। ইনসুলিনের ধরনভেদে নির্দিষ্ট সাইজের সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হয়। তা নাহলে ভুল ডোজে ইনসুলিন নেওয়ার মাধ্যমে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ইনসুলিন নেওয়ার সময়ে ইউনিট অনুযায়ী উপযুক্ত সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ডাক্তারের কাছ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। ধাপ ৫: ইনসুলিনের ভায়ালটি খাড়া করে ধরে বোতলের ভেতরে সিরিঞ্জের সুইটি পুরোপুরি ঢুকিয়ে দাও। এরপর সিরিঞ্জের প্লাঞ্জার বা দন্ড চেপে সিরিঞ্জের ভেতরে থাকা বাতাস ভায়ালে ঢুকিয়ে দাও। এতে করে সিরিঞ্জে ইনসুলিন তুলতে সুবিধা হবে। এবার ভায়ালটি উল্টো করে ধরে নির্ধারিত ইউনিটের চেয়ে সামান্য বেশি ইনসুলিন সিরিঞ্জে টেনে নাও। খেয়াল রাখবে ভায়ালের ভেতরে সুইয়ের মাথার চারিদিকে যেন ইনসুলিন থাকে এবং কোনো বাতাস না থাকে। ধাপ ৬: এরপর এমনভাবে সিরিঞ্জটি ধর যেন সুই ওপরে ও প্রাঞ্জার নিচে থাকে। সিরিঞ্জের গায়ে আলতো করে কয়েকটি টোকা দাও যেন ভেতরে কোনো বাতাস থাকলে তা ওপরের দিকে উঠে আসে। এবার যতক্ষণ পর্যন্ত সুইয়ের মাথায় ইনসুলিন না দেখা যায় ততক্ষণ সিরিঞ্জের নিচের দিকে থাকা প্লাঞ্জারে ধীরে ধীরে চাপ দিন। এই কাজটিকে বলা হয় ‘প্রাইমিং’। সুঁই ও সিরিঞ্জের ভেতরে কোনো বাতাস থাকলে তা এই পদ্ধতিতে বের করা যায়। ফলে ডোজ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। এভাবে সিরিঞ্জে যেন কেবল নির্ধারিত ডোজের ইনসুলিন থাকে সেটি নিশ্চিত কর। ধাপ ৭: যেখানে ইনজেকশনটি নিবে সেই স্থান পরিষ্কার ও শুকনো আছে কি না সেটি নিশ্চিত কর। এক্ষেত্রে এলকোহল সোয়াব ব্যবহার করা যেতে পাড়ে। ইনজেকশন দেওয়ার আগে ত্বক আস্তে চিমটি দিয়ে উঠিয়ে নিতে পার। এবার সমকোণে বা খাড়াভাবে (৯০ ডিগ্রী কোণে) সুইটি শরীরে পুরোপুরি প্রবেশ করাও। যতক্ষণ পর্যন্ত পুরো সিরিঞ্জ খালি না হয় ততক্ষণ প্রাঞ্জারে চাপ দিয়ে ধরে রাখ। ধাপ ৮: সুইটি বের করে ফেলার আগে ইনসুলিন যেন শরীরে প্রবেশ করার যথেষ্ট সময় পায় সেজন্য এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনে নাও। ত্বকে চিমটি দিয়ে রাখলে তা সরিয়ে নাও। এবার সুইটি বের করে ফেল। অবশেষে সুইসহ সিরিঞ্জটি নিরাপদ স্থানে ফেলে দাও।

ওজন পরিমাপ করা:

ধাপ-১। পরিমাপ করার আগে ওজন মেশিনটি কাজ করে কিনা বা ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। ধাপ-২। রোগী মেশিনে ওঠার আগে ওজন স্কেল জিরো বা নিউট্রাল করে নিতে হবে।

ধাপ-৩। পকেটে কোনো ভারী বস্তু যেমন চাবি, মোবাইল, ওয়ালেট থাকলে তা বের করে রাখুন।

ধাপ-৪। পায়ের জুতা, ভারী জ্যাকেট বা সোয়েটার থাকলে তা খুলে রাখুন।

ধাপ-৫। ওজন মাপার সময় রোগীকে শরীর সোজাসুজি রেখে সামনের দিকে দাঁড়িয়ে থাকতে বলুন।

ধাপ-৬। মেজারিং স্কেল অথবা ডিজিটাল স্ক্রিন স্থির হলে ওজনটি দেখুন ও তা চার্টে রেকর্ড কর।

উচ্চতা পরিমাপ করার পদ্ধতি :

ধাপ-১। উচ্চতা মাপার আগে উচ্চতা মাপক স্কেল অথবা মেশিনটি ঠিক আছে কিনা তা চেক ও কেলিব্রেটেড করে নিন

ধাপ-২। তারপর রোগীকে তার জুতা খুলতে বলুন। ধাপ-৩। রোগীকে পিছন দিকে ফিরিয়ে ওয়ালের সাথে তার পিঠ ঠেকিয়ে নিন।

ধাপ-৪। রোগীর সম্মুখভাগ সামনা সামনি বরারর রেখে সোজা হয়ে দাড়াতে বলুন।

ধাপ-৫। এবার ভালো করে খেয়াল করে দেখুন যেন তার পায়ের গোড়ালি, পিঠ, মাথার পিছন সাইট হাইট স্কেলের ওয়ালে লেগে থাকে।

ধাপ-৬। এবার আস্তে আস্তে উচ্চতা মেশিনের সাথে লাগানো মেজারিং ডিভাইসটি একদম মাথার উপরের অংশে এডজাষ্ট করে নিন এবং আপনার আই লেভেল সোজাসুজি রেখে উচ্চতা পরিমাপ করে রেকর্ড কর।

ওরাল মেথডে তাপমাত্রা মাপার পদ্ধতি

ধাপ-১। প্রথমেই সাবান ও পানি দিয়ে সঠিক নিয়মে হাত ধৌত কর।

ধাপ-২। গ্লাভস পরিধান কর।

ধাপ-৩। তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি একটি ট্রেতে সাজান।

ধাপ-৪। ডিজিটাল অথবা গ্লাস থার্মোমিটারটি জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে।

ধাপ-৫। রোগী যদি বসতে পারে তাহলে সোজা করে বসিয়ে নাও। ধাপ-৬। রোগীকে তার মুখ খুলতে এবং জিহ্বা তুলতে বল।

ধাপ-৭। গ্লাস বা মারকারি থার্মোমিটারের ক্ষেত্রে সাবধানে ঝাঁকিয়ে ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে নামিয়ে নিয়ে রোগীর জিহ্বার নীচে অর্থাৎ জিভের গোড়ায় ডান বা বাম দিকে আস্তে আস্তে রাখ।

ধাপ-৮। রোগীকে তার ঠোঁট বন্ধ করতে বল এবং খেয়াল রাখো যেন থার্মোমিটারটি দাঁত দিয়ে কামড়ে না দেয়। যদি ডিজিটাল থার্মোমিটার হয় তাহলে স্টার্ট বাটন পুশ কর।’

ধাপ-৯। রিডিং কাউন্ট সম্পন্ন হলে ডিজিটাল থার্মোমিটারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিপ দেওয়ার সাথে সাথে বের কর। তবে গ্লাস বা মারকারি থার্মোমিটারের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ মিনিট অপেক্ষা কর।

ধাপ-১০। তারপর থার্মোমিটারটি বের করে তাপমাত্রা দেখ

ধাপ-১১। থার্মোমিটারটি হালকা গরম সাবান পানিতে ধৌত কর (কখনই অধিক গরম পানিতে নয়) জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে শুকনো করে নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ কর।

ধাপ-১২। গ্লাভস খুলে ফেলে তা নির্ধারিতে বর্জ্য ধারকে রেখে হ্যান্ড ওয়াশ কর।

ধাপ-১৩। টেমপারেচার চার্টে তাপমাত্রা রেকর্ড কর।

এক্সিলারী তাপমাত্রা নেওয়া:

ধাপ-১। প্রথমেই সাবান ও পানি দিয়ে সঠিক নিয়মে হাত ধৌত কর।

ধাপ-২। গ্লাভস পরিধান কর।

ধাপ-৩। তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি একটি ট্রেতে সাজাও।

ধাপ-৪। ডিজিটাল অথবা গ্লাস থার্মোমিটারটি জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে।

ধাপ-৫। গ্লাস বা মারকারি থার্মোমিটারের ক্ষেত্রে সাবধানে ঝাঁকিয়ে ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে নামিয়ে নিয়ে বগলের নীচে থার্মোমিটারটি স্থাপন কর।

ধাপ-৬। রোগীকে বুকের সাথে হাত শক্ত করে চেপে রাখতে বলে ডিজিটাল থার্মোমিটারটি বিপ দেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এবং গ্লাস অথবা মারকারি থার্মোমিটারের ক্ষেত্রে তিন থেকে চার মিনিট রেখে দাও।

ধাপ-৭। নির্ধারিত সময় অপেক্ষা করার পর থার্মোমিটারটি বের কর এবং সঠিক তাপমাত্রাটি দেখে নাও।

ধাপ-৮। থার্মোমিটারটি হালকা গরম সাবান পানিতে ধুয়ে (কখনই অধিক গরম পানিতে নাও)। জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে শুকনো করে নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ কর।

ধাপ-৯। গ্লাভস খুলে ফেলে তা নির্ধারিত বর্জ্য ধারকে রেখে হ্যান্ড ওয়াশ কর।

ধাপ-১০। টেমপারেচার চার্টে তাপমাত্রা রেকর্ড কর।

হার্টবিট বা পালস পরিমাপ করার পদ্ধতি

ধাপ-১। প্রথমেই হ্যান্ড ওয়াশিং কর।

ধাপ-২। গ্লাভস পড়ার প্রয়োজন হলে তা পড়ে নাও।

ধাপ-৩। যে হাত দিয়ে হার্ট বিট ফিল করবে তার অন্য হাতে হাতঘড়ি পরে নিতে হবে।

ধাপ-৪। রোগীর পজিশনিং করে নাও। রোগীর হাতটি একটি টেবিলের উপরে রেষ্টিং অবস্থায় রাখ।

ধাপ-৫। ইন্ডেক্স ফিঙ্গার বা মাঝখানের তিন আংগুলের মাঝের আংগুলোটি ব্যবহার কর ও রোগীর কজিতে বুড়ো আংগুলের ২ ইঞ্চি নীচে নাড়ি অনুভব না করা অবধি মাঝারি চাপ প্রয়োগ কর।

ধাপ-৬। পুরো এক মিনিট ধরে পালস কাউন্ট কর অথবা ৩০ সেকেন্ড কাউন্ট করে ২ দিয়ে গুণ কর। ধাপ-৭। পালস রেট রেকর্ড কর।

রক্তচাপ পরিমাপ করা :

ধাপ-১। হ্যান্ড ওয়াশ কর। ধাপ-২। স্টেথোস্কোপের এয়ার পিচ ও ডায়াফ্রাম জীবানুমুক্ত করে নাও। ধাপ-৩। ব্লাড প্রেসার মনিটর ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা কর।

ধাপ-৪। রোগীকে বসিয়ে অথবা শুইয়ে নাও।

ধাপ-৫। রক্তচাপ মাপার জন্য চাপবিহীন অবস্থায় রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের কাফ-এর নিচের প্রান্ত কনুইয়ের সামনের ভাঁজের ২.৫ সে. মি. উপরে ভালোভাবে আটকাও।

ধাপ-৬। কনুইয়ের সামনে হাত দিয়ে ব্রাকিয়াল ধমনীর অবস্থান স্থির করে তার উপর স্টেথো স্কোপের ডায়াফ্রাম বসিয়ে নাও।

ধাপ-৭। ডায়াফ্রাম এমনভাবে চাপ দাও যেন ডায়াফ্রাম এবং ত্বকের মাঝখানে কোনো ফাঁক না থাকে।

ধাপ-৮। চাপ মাপার সময় স্টেথোস্কোপের কাপড় কিংবা কাফের ওপরে হাত না রেখে পরবর্তী কাজ কর।

ধাপ-৯। রক্ত চাপমান যন্ত্রের ঘড়ি হৃদপিন্ডের একই তলে অবস্থান করে নাও।

ধাপ-১০। এরপর রেডিয়াল ধমনী অনুভব করে ধীরে ধীরে চাপমান যন্ত্রের চাপ বাড়াতে হবে।

ধাপ-১১। রেডিয়াল পালস বন্ধ হওয়ার পর চাপ ৩০ মি. মি. উপরে নাও।

ধাপ-১২। তারপর আস্তে আস্তে চাপ কমাও। প্রতি বিটে সাধারণত ২ মি. মি. চাপ কমানো যেতে পারে।

ধাপ-১৩। এবার চাপ কমানোর সময় স্টেথোস্কোপ দিয়ে ব্রাকিয়াল ধমনীতে সৃষ্ট শব্দ মনোযোগের সঙ্গে শুনো। জেনে রাখ, চাপ কমতে শুরু করলে রক্ত চলাচলের ফলে এক ধরনের শব্দ সৃষ্টি হয়। একে করটকফ শব্দ (Korotkoff sound) বলা হয়। করটকফ শব্দ ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয়।

ধাপ-১৪। প্রথমে এক ধরনের যে তীক্ষ্ণ শব্দ পাওয়া যায় এটাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ হিসেবে কাউন্ট কর।

ধাপ-১৫। করটকফ শব্দের তীক্ষ্ণতা ধীরে ধীরে কমে আসতে আসতে এক পর্যায়ে প্রথম পর্যায়ে করটকফ শব্দ থেমে যায়। এই শব্দ বন্ধ হওয়ার আগে যে শব্দ শোনা যায় সেটাকেই ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ হিসেবে কাউন্ট কর।

ধাপ-১৬। বিপি মেশিন খুলে ফেলে পরিমাপ করা ব্লাড প্রেসার রেকর্ড চার্টে লিপবদ্ধ কর।

ধাপ-১৭। কাজ শেষে বিপি ইন্সট্রুমেন্ট নির্ধারিত জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখ।

রোগীকে বিছানা থেকে হইলচেয়ারে স্থানান্তর করা:

রোগীকে হুইলচেয়ারে স্থানান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি আগে থেকেই প্রস্তুত করে নিতে হবে। যেমন: ট্রান্সফার বেল্ট, হুইলচেয়ার, রোগীর পোশাক ও জুতা প্রভৃতি।

প্রক্রিয়া: ১। হুইলচেয়ারটিকে বিছানার কাছে রোগী যে পাশে বেশি শক্তি অনুভব করেন সে পাশে রাখতে হবে। হুইলচেয়ারের পা দানিটি ভাঁজ করে রাখতে হবে এবং হুইলচেয়ারের চাকার লক অবশ্যই বন্ধ করে রাখতে হবে। অন্যথায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

২। সুবিধামত বিছানার উচ্চতা বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে হবে।

৩। বিছানার দিকে মুখ করে আনুমানিক ১২ ইঞ্চি ফাঁকা রেখে এক পায়ের সামনে আরেক পাঁয়ের পজিশন নিয়ে দাঁড়াতে হবে। একহাত রোগীর পিঠে ও আরেকহাত রোগীর পায়ের উপরের অংশে শক্তভাবে রেখে এক দুই তিন বলার মধ্যেই নিজের শরীরকে বাকিয়ে রোগীকে বিছানার একপাশে সিটিং পজিশনে নিয়ে আসতে হবে।

৪। এবারে প্রয়োজন মত রোগীর জামাকাপড় পরিবর্তন অন্য কোনো কাজ করা যেতে পারে। সিটিং পজিশনে রোগীকে রেখে ২-১ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। দেখতে হবে রোগীর কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা।

৫। এরপর ট্রান্সফার বেল্টটি রোগীর কোমরে শক্ত করে আটকে দিতে হবে।

৬। রোগীকে দাড়া করানোর জন্য দুটি উপায় অবলম্বন করা যায়। একটি হচ্ছে, চিত্রের ন্যায় রোগীর পিছনে হাত দিয়ে ট্রান্সফার বেল্টটি শক্ত করে আকড়ে ধরতে হবে অথবা ট্রান্সফার বেল্ট না থাকলে রোগীর দুই বাহুর নিচ দিয়ে তার দুই কাঁধে শক্ত করে ধরতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই রোগীর দুই হাত কেয়ারগিভারের ঘাড়ের উপর দিয়ে দুই পাশে শক্ত করে ধরে রাখার জন্য বলতে হবে। আর যদি কোনো সাহায্যকারী থাকে, তাহলেও কাজটি একইভাবে আরো সহজেই সম্পাদন করা যায়।

৭। রোগীকে শক্ত করে সাপোর্ট দিয়ে এক দুই তিন পর্যন্ত বলার সাথে সাথেই রোগীকে বসা থেকে দাড় করিয়ে ফেলতে হবে। এরপর রোগীকে ধীরে ধীরে চেয়ারের দিকে পিছনে করে নিয়ে যেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেনো রোগীকে দুই একটির বেশি কদম ফেলতে না হয়।

৮। চেয়ার পর্যন্ত নিয়ে রোগীকে ধীরে ধীরে বসার জন্য বলতে হবে। বসানোর পর রোগীর দুই হাতকে একটির পর একটি করে নিজের ঘাড় থেকে নামিয়ে চেয়ারের হাতলে রাখতে হবে।

৯। এরপর রোগীকে সঠিকভাবে আরামদায়ক পজিশনে বসতে সহায়তা করতে হবে। পা দানির ভাঁজ খুলে রোগীর পা দুটো এর উপর রাখতে হবে।

১০। ট্রান্সফার বেল্ট অপসারণ করতে হবে এবং হুইলচেয়ারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বেল্টের লকটি লাগিয়ে দিতে হবে। এরপর প্রয়োজন হলে হইলচেয়ারের লকটি খুলে রোগীকে নির্দিষ্ট জায়গায় অতীব সাবধানে নিয়ে যেতে হবে।

চোকিং এর প্রাথমিক চিকিৎসা প্রাপ্ত বয়স্ক সজ্ঞান ব্যক্তির জন্য:

আহত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করতে হবে, আপনার গলায়কি কিছু আটকিয়েছে? হালকা বাধা হলে তিনি কথা বলতে পারবেন, কাশি দিতে পারবেন এবং তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস চলবে। মারাত্মক বাধায় ঐ ব্যক্তি কথা বলতে পারবেন না, কাশি দিতে পারবেন না এবং অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।

ধাপ ১: যদি শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন, তাহলে তাকে কাশি দিতে উৎসাহিত করতে হবে। বস্তুটি বেরিয়ে আসতে পারে। যদি না আসে ধাপ ২ অনুসরণ কর।

ধাপ-২: আহত ব্যক্তির পেছনে দাঁড়িয়ে এক হাতে তার পেটের নাভি বরাবর ধরে তাকে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিয়ে, শক্ত হাতের হিল দিয়ে পিঠের উপরের অংশের মাঝ বরাবর ৫টি চাপড় দিতে হবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে প্রতিটি চাপড় যেন ঐ ব্যক্তির পিঠের মাঝ বরাবর এবং ঊর্ধ্বমুখী থাকে।

ধাপ ৩: পিঠে চাপড় দেওয়ার পরও যদি আটকে থাকা বস্তুটি বেরিয়ে না আসে, তবে একইভাবে ঐ ব্যক্তির পেছনে দাঁড়িয়ে দুই পাশ দিয়ে দুই হাত তার বুকের কড়ি ও নাভির মাঝখানে স্থাপন করতে হবে। দুর্বল হাত মুষ্টিবদ্ধ করে শক্ত হাত দিয়ে মুষ্টিটিকে আঁকড়ে ধরতে হবে। ভেতর ও উপরের দিকে ৫টি টান দিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও ব্যক্তিকে সামনের দিকে। নুইয়ে নিতে হবে।

ধাপ ৪: মুখের ভেতর পরীক্ষা কর। যদি আটকে থাকা বস্তুটি বেরিয়ে না আসে তাহলে পর্যায়ক্রমে ধাপ ২ ও ধাপ ৩ প্রয়োগ করতে থাক। প্রতিটি ধাপ সম্পন্নের পর মুখের ভিতর পরীক্ষা কর। ধাপ ৫: আটকে থাকা বস্তুটি যদি এরপরও বেরিয়ে না আসে তাহলে ধাপ ২ ও ধাপ ৩ পর্যায়ক্রমে করতে করতে হাসপাতালে প্রেরণ কর।

HRTD Medical Institute

Check Also

Psychiatric

Psychiatry শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে মনোরোগ বিদ্যা। সাধারণত মানসিক রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর রোগ সমূহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *